ডিম আপনার পছন্দ কিংবা অপছন্দ। আমার এর একটাও না। আমার অল্প পছন্দ। এদেশের মধ্যবিত্ত জীবনের ডিম একটি পরিচিত পুষ্টিকর খাদ্য এবং অতিথি আপ্যায়নের সবচেয়ে সস্তা মাধ্যম।
আর এদেশের ব্যাচেলরদের পকেট ফাকা থাকলে কিংবা মাস শেষে ডিমের কদর বেড়ে যায়।
তো যাই হোক, একদিন কাকের ডিমের চেয়ে বড় এবং রাজহাসের ডিমের চেয়ে ছোট এক মধ্যবিত্ত সাইজের কিছু ডিম বাড়ি থেকে এলো।
যেহেতু ডিম অল্প পছন্দ, তাই ডিম খেতে আলস্য ছিল। মাঝে মাঝে মনে পড়লে খেতাম। সব ডিম গুলো খাওয়া শেষ হল, একটা ডিম বাদে।
এই ডিম টা আর খাওয়া হয় না। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কেটে যায়। এত দিনে বোঝা শেষ, ডিম টা আর ভাল নেই, নষ্ট হয়ে গেছে।
কিন্তু ডিম টা আর ফেলা হয়নি। রাখা ছিল বইয়ের তাকের একটা তলায়, কিছু বইয়ের পাশে।
ভাবলাম থাকুক না ডিম টা, দেখি কি হয়?
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। একদিন সেই তাকের পাশে বসে ল্যাপটপ চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ, বিকট আওয়াজ!
ভাবলাম হয়তো বিদ্যুৎ ঘটিত কোন সমস্যা। কিন্তু খোজাখুজির পর এমন কোন সমস্যা পাওয়া গেল না।
অবশেষে চোখ গেল, সেই মধ্যবিত্ত সাইজের ডিমের দিকে। দেখি ডিম নিজেই আত্মহত্যা করে ফেলেছে এবং মুখ দিয়ে কালো রক্ত বের হয়ে গেছে।
এতদিন যেই ডিমকে আমরা হত্যা করে খেতাম, সেই ডিম গোত্রের কেউ যে আত্মহত্যা করতে পারে, এটা জানা ছিল না!
এভাবে ডিমের আত্মহত্যার মাধ্যমে শেষ এক ডিমের ঐতিহাসিক জীবন।
আরও পড়ুন
অসাধারণ রম্যরচনা।
ধন্যবাদ ❤️