ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অহংবোধ ও অন্তঃসারশূন্য অবস্থা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ জন্মের আগে জন্ম লাভ করেছে। বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে এ অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। নাম লাভ করে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে।

এই শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ কে নিয়ে আমাদের অবশ্যই গর্ব রয়েছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বা পড়ালেখার জন্যে কোন প্রার্থীর সাবেক কোন প্রতিষ্ঠান সরকারি না বেসরকারি, পাবলিক না প্রাইভেট ইত্যাদি বিবেচনায় নেয় তখন ব্যাপার টা আসলে দুঃখজনক!

সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি ভর্তির জন্য শর্ত দেয়, যদি প্রার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে তিনি সরাসরি পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন না। তাকে আগে ঢাবির এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু, প্রার্থী যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে অনার্স মাস্টার্স থাকলেই হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেমন জানি স্বরণ করিয়ে দিল, সেই বর্ণ প্রথার কথা। যখন মানুষের সামাজিক অবস্থান নির্ণয় করা হত তাঁর বংশ বা কোন শ্রেণির লোক তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এত উঁচু মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এইসব চলে, তাহলে আমাদের শিক্ষার যে অন্তঃসারশূন্য অবস্থা সে কথা বলা যেতেই পারে।

অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের এমন অবস্থা পাওয়া গেছে, যার ৯৮% গবেষণাই নকল

আমরা এখন এই বিদ্যাপীঠে ১০ টাকায় চা-সিঙ্গারা-সমুচা-চপ পাওয়া যায়, এটাকে নিয়ে গর্বের জায়গায় নিয়ে গেছি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নিতান্তই আমাদের ইতিহাস।

আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংএও এই প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের অবস্থান নিচের দিকে। গবেষণার দিকে নজর না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে আছে, একজন শিক্ষার্থীর সাবেক বিদ্যাপীঠ সরকারি না বেসরকারি তাঁর উপর। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও একজন গবেষণায় ভাল করতে পারে, এ বিশ্বাস হয়তো ঢাবির নেই!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Photo: Bigstock

আরও পড়ুন

Leave a Reply